Preloader
img

সঠিক শেখার পদ্ধতি বেছে নেওয়া: নিজের গতিতে, অনলাইন লাইভ নাকি সরাসরি ক্লাস?

আজকাল শেখা শুধু স্কুল বা কলেজের চার দেয়ালে সীমাবদ্ধ নেই। আপনি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হন, চাকরির প্রস্তুতি নেন, নতুন স্কিল শিখতে চান বা ব্যবসা করতে চান—কীভাবে শিখবেন সেটাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে এখন শেখার জন্য তিনটা জনপ্রিয় উপায় আছে: নিজের গতিতে শেখা, লাইভ অনলাইন ক্লাস আর সরাসরি মুখোমুখি প্রশিক্ষণ। প্রতিটা পদ্ধতির আলাদা সুবিধা আর চ্যালেঞ্জ আছে।

১. নিজের গতিতে শেখা

এখানে আপনি রেকর্ড করা ভিডিও, অনলাইন মডিউল বা ই-লার্নিং ব্যবহার করে নিজের সুবিধামতো সময়ে শিখতে পারবেন। ধরুন, আপনি চাকরি বা পড়াশোনার ব্যস্ততায় আছেন, অথবা ঢাকার বাইরে থাকেন যেখানে ভালো ট্রেনিং সেন্টার নেই—তাহলে এই পদ্ধতি অনেক কাজে লাগবে। চাইলে একই লেকচার বারবার দেখা যায়। iSkill-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো বাংলাদেশে বিশেষ করে গ্রামীণ ও আধা-শহুরে এলাকায় আইটি, ডিজাইন আর ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

২. লাইভ অনলাইন ক্লাস

এগুলো জুম বা গুগল মিটের মতো প্ল্যাটফর্মে হয়। ক্লাসে শিক্ষক থাকেন, প্রশ্ন করা যায় আর অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করা যায়। যারা বাড়িতে বসেই গাইডলাইন আর শৃঙ্খলাপূর্ণ পড়াশোনা চান, তাদের জন্য ভালো একটা অপশন। কোভিড-১৯ সময় থেকে এই ধরনের ক্লাস বাংলাদেশে অনেক বেড়েছে। তবে ইন্টারনেট ভালো না থাকলে সমস্যা হতে পারে। তবুও পরীক্ষার প্রস্তুতি, সার্টিফিকেট কোর্স আর মেন্টরশিপের জন্য লাইভ ক্লাস বেশ কার্যকর।

৩. সরাসরি মুখোমুখি ক্লাস

এটা হলো প্রচলিত ক্লাসরুম বা ওয়ার্কশপের মতো। যেসব স্কিল হাতে-কলমে শিখতে হয়—যেমন নার্সিং, ঢালাই, রান্না, বা ল্যাবের কাজ—এগুলোর জন্য মুখোমুখি প্রশিক্ষণ অপরিহার্য। এতে শিক্ষক ও সহপাঠীদের সাথে সরাসরি শেখা যায় আর তাৎক্ষণিক ফিডব্যাক পাওয়া যায়। তবে এর খরচ বেশি আর ঢাকার বাইরে সুযোগ তুলনামূলক কম।

 

 

শেষ কথা

কোন পদ্ধতি আপনার জন্য ভালো হবে, সেটা আপনার লক্ষ্য আর পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।

  • সময়ের স্বাধীনতা চাইলে নিজের গতিতে শেখাই ভালো।

  • গাইডলাইন আর শৃঙ্খলা চাইলে লাইভ অনলাইন ক্লাস ভালো অপশন।

  • হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা পেতে হলে মুখোমুখি প্রশিক্ষণ দরকার।

অনেক শিক্ষার্থী এখন তিনটা পদ্ধতিই মিশিয়ে নিচ্ছে—বেসিক শেখার জন্য নিজের গতিতে কোর্স, গাইডলাইনের জন্য অনলাইন ক্লাস আর ব্যবহারিক অনুশীলনের জন্য সরাসরি প্রশিক্ষণ। ভবিষ্যতে চাকরির বাজারে টিকে থাকতে গেলে নিয়মিত শেখাই হলো আসল চাবিকাঠি।